চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার - চুলকানি প্রতিরোধের উপায়

প্রিয় পাঠক আজ আপনারা জানবেন চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার ও চুলকানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। চুলকানির সমস্যায় চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার অর্থাৎ স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ সমূহ ও চুলকানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানাবো আপনাদের। চলুন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নেওয়া যাক চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার ও চুলকানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ।
চুলকানির - ঔষধের - নাম - স্কয়ার

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার - চুলকানি প্রতিরোধের উপায়

ভূমিকা

চুলকানি সমস্যা এক ধরনের চর্ম রোগ যা একজন ব্যক্তির জন্য বেশ বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কারণ চুলকানি শরীরে হলে প্রত্যেকটা মুহূর্তে শরীরের যে কোন স্থানে চুলকানি অনুভব হয় এবং এক পর্যায়ে এটি জ্বালাপোড়া সমস্যা হয়। আর চুলকানি সমস্যা ছোয়াচে রোগের মত অর্থাৎ ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে অন্য ব্যক্তির চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। আর তাছাড়া চুলকানি থেকে আরও নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শরীরে চুলকানি সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা উচিত। এ বিষয়ে কখনোই হেলাফেলা করা উচিত নয়। 

তবে শরীরের চুলকানি হওয়ার কারণসমূহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে, কারণ সব থেকে বেশি শরীরের চুলকানি সমস্যা হয় ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে। বিশেষ করে শীতকালে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ার কারণে শরীরে চুলকানি সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন এলার্জিজনিত কারণেও চুলকানি সমস্যা দেখা যায়। তাই অবশ্যই যদি কারো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে তাকে সে সমস্ত বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- বেগুন, কচু, চিংড়ি মাছ, আম, বাসি কোন খাদ্য এছাড়াও অনেকের বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড়ের আচর বা কামড়ের ফলেও এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এই সমস্ত বিষয়গুলো অবশ্যই দেখে সতর্কতার সাথে জীবন যাপন করা উচিত। আজ আপনাদের জানিয়ে দিব চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার অর্থাৎ স্কয়ার কোম্পানির কোন কোন ঔষধ চুলকানির জন্য ব্যবহার করা হয় এবং চুলকানি প্রতিরোধের উপায় ও চুলকানির মলমের নাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার

চুলকানির সমস্যায় আমরা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ঔষধ সেবন করে থাকি, তবে আপনারা অনেকেই জানেন স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ গুলো তুলনামূলক অনেক বেশি কার্যকর হয়। আর তাই আমরা যেকোনো সমস্যায় স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ গুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করি। চুলকানি সমস্যাই স্কয়ার কোম্পানি বেশ কিছু কার্যকর ঔষধ বের করেছে। 

আজ আপনাদের জানিয়ে দেবো আপনাদের চুলকানির সমস্যাই স্কয়ার কোম্পানির কোন কোন ঔষধ গুলো সেবন করলে আপনার আপনাদের চুলকানি সমস্যা থেকে খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার অর্থাৎ স্কয়ার কোম্পানির কোন কোন ঔষধ গুলো বেশি কার্যকর।
  • টেবাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Tebast 10 mg tablet) 
  • বিলিস্তা ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Bilista 20 mg tablet) 
  • রূপাট্রোল ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Rupatrol 10 mg tablet) 
  • ফ্লুগাল ৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Flugal 50 mg tablet) 
  • ফেক্সো ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Fexo 120 mg tablet)
এ সমস্ত ঔষধ গুলি চুলকানি দূর করার স্কয়ার কোম্পানির ট্যাবলেট। এগুলো চুলকানি সমস্যায় দারুন কার্যকর। তারপরেও শরীরে চুলকানি বিভিন্ন রকম কারণে হয়ে থাকার কারণে, যেকোনো ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যে কোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

চুলকানি প্রতিরোধের উপায়

চুলকানি সমস্যায় আমরা অনেকেই খুব বেশি বিরক্ত বোধ করি তবে, আপনারা জানেন যে কোন ধরনের সমস্যার প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরী। আর তাই চুলকানি প্রতিরোধের উপায় গুলো জানা থাকলে শরীরের চুলকানি সমস্যা হওয়ার কোন রকম সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ চুলকানি সমস্যা যেমন একটি বিরক্তিকর সমস্যা এছাড়াও চুলকানি থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। 

এছাড়াও আরও শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেমন- লিভারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। তাই শরীরে যদি চুলকানি সমস্যা দেখেন তাহলে অবশ্যই ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি সমস্যাটির সমাধান না হয় তাহলে দ্রুততর ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তবে আজ আপনাদের জানাবো চুলকানি প্রতিরোধের উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
  • অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলঃ ঘরোয়া টোটকা হিসেবে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল বেশ কার্যকর। কারণ আপনারা জানেন ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণেই মূলত চুলকানির সমস্যা দেখা যায়। আর অলিভ অয়েল ত্বক অনেক বেশি নরম ও কোমল রাখে, এর ফলে ত্বকের চুলকানির সম্ভাবনা থাকে না। আর তাই ত্বককে সবসময় আদ্র রাখার জন্য নিয়মিতভাবে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ব্যবহার করুন। বিশেষ করে যে সমস্ত সময়ে শরীর অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায় সে সমস্ত সময় ব্যবহার করুন।
  • নারিকেল তেলঃ অলিভ অয়েলের পাশাপাশি নারিকেল তেল বেশ উপকারী, যেহেতু অলিভ অয়েলের দাম কিছুটা বেশি এবং সচরাচর সবার ঘরে থাকে না তাই নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ নারিকেল তেল শরীরে ব্যবহার করলে শরীর অনেক বেশি আর্দ্র থাকে। এর ফলে শরীরে কোন রকম চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর তাই শরীরে শুষ্কতা অনুভব করলে ঘরোয়া উপকরণ নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।
  • বেকিং সোডাঃ শরীরে সামান্যতম চুলকানি অনুভব করলে বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে শরীরের সব ধরনের চুলকানি বা জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ত্বকের চুলকানি কমাতে বেশ কার্যকর বেকিং সোডা। আর তাই বেকিং সোডা গোসলের সময় পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি শরীরের প্রদাহকে কমিয়ে থাকে ও পি এইচ এর ভারসাম্য রক্ষা করে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ আমরা আগেই বলেছি শরীর অত্যন্ত শুকনো হয়ে যাওয়ার ফলেই মূলত চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। আর এই চুলকানি সমস্যা দূর করতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরী। তাহলে শরীরের ভেতর থেকে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে তাই চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আর তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে শরীর সবসময় হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে শীতকালে মানুষ পানি পান করার প্রতি একেবারে আগ্রহ রাখেন না, আর তাই শরীর অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি প্রবণতা বৃদ্ধি পায় তাই নিয়মিতভাবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • অ্যালোভেরাঃ ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় এই অ্যালোভেরা দারুন কাজ করে। ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়লে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে অনেক বেশি নরম ও কোমল হয়ে ওঠে। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল একটি প্রদাহ রোধকারী ঔষধ, এটি চুলকানির সমস্যায় ব্যবহার করা হয়। তাই অ্যালোভেরা জেল শরীরের যেকোনো স্থানে ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তেই।
  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডঃ শরীরে বেশ কিছু ভিটামিনের কারণেও চুলকানির সমস্যা হতে পারে আর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হিসেবে ওমেগা-৩ অত্যন্ত উপযোগী। এটি ত্বকের চুলকানি সমস্যা দমন করতে সাহায্য করে, তাই ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রতি মনোযোগী হোন। এর মধ্যে রয়েছে বাদাম, স্যালমন মাছ, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।

চুলকানির মলমের নাম 

স্কয়ার কোম্পানির বেশ কিছু ঔষধের পাশাপাশি মলম রয়েছে যেগুলি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে চুলকানি সমস্যা দূর করতে। বিশেষ করে যাদের গোপনাঙ্গে চুলকানি সমস্যা দেখা দেয় এ সমস্ত ক্রিমগুলো তাদের জন্য বেশ উপকারী। চলুন তাহলে আপনাদের জানিয়ে দিই চুলকানির মলমের নাম অর্থাৎ স্কয়ার কোম্পানির চুলকানির মলমের নাম গুলো সম্পর্কে।

  • ফানজিডাল-এইস সি ক্রীম (Fungidal-HC Cream)
  • এফান ক্রিম ১% (Afun 1%)
  • ইজেক্স ক্রিম (Ezex Cream)
  • টজেন্ট ক্রিম (Togent Cream)

চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার - চুলকানি প্রতিরোধের উপায়ঃ উপসংহার 

চুলকানির সমস্যায় বিরক্ত আজ অনেকেই, কারণ চুলকানি সত্যিকার অর্থে বেশ কষ্টকর একটি সমস্যা। যেকোনো সময় যে কোন স্থানে চুলকানি শুরু হয়ে যায়, আর এই চুলকানি একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে হতে দেখা যায় তাই এ বিষয়টি কখনোই হেলাফেলা করা উচিত নয়। চুলকানির সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন ধরনের স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ সম্পর্কে জানিয়েছি আপনাদের তবে, চুলকানি নানা রকম কারণে হয়ে থাকে তাই যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ করা আবশ্যক। 
আজকের আটিকেল থেকে আপনারা জেনেছেন, চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার, চুলকানি প্রতিরোধের উপায় ও চুলকানির মলমের নাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমাদের সঙ্গে এতক্ষন থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি উপকারী মনে হলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন, আসসালামু-আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪