রক্তে এলার্জির লক্ষণ - রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ

প্রিয় পাঠক আজ আপনারা জানবেন রক্তে এলার্জির লক্ষণ ও রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ সম্পর্কে। অনেকের রক্তে এলার্জি থাকে তাই রক্তে এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখা আবশ্যক, এছাড়াও রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ কি কি সে বিষয়েও জানাবো আপনাদের। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, রক্তে এলার্জির লক্ষণ ও রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
রক্তে - এলার্জির - লক্ষণ

পোস্ট সূচিপত্রঃ রক্তে এলার্জির লক্ষণ - রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ

ভূমিকা 

সাধারণত মানুষের শরীরের উপরিভাগে এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে, তবে অনেকের রক্তে এলার্জির সমস্যা হয়। শরীরের উপরিভাগে অর্থাৎ শরীরে যে কোন স্থানে এলার্জি সমস্যা হলে আমরা খুব সহজে সেটি দেখতে পাই এবং বুঝতে পারি, কিন্তু রক্তে এলার্জি হলে সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। তবে রক্তের এই এলার্জি নানা রকম রোগের কারণ হয়ে থাকে, এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে দেখা যায়

যেমন- শ্বাসকষ্ট, মুখ ফুলে যাওয়া, চুলকানির সমস্যা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, নিম্ন রক্তচাপ, ঠোঁট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা। রক্তে এলার্জির কারণে অনেকের মৃত্যু ঝুঁকি থাকে, তাই রক্তে এলার্জি সম্পর্কে বিস্তার ধারণা রাখা অতি অবশ্যই। তাই আজ আমরা আলোচনা করব রক্তে এলার্জির লক্ষণ - রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ ও রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিতভাবে সবকিছু জেনে নেওয়া যাক।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ

কারো শরীরের রক্তে যদি এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। কারণ স্বাভাবিকভাবে ত্বকের উপরিভাগে এলার্জি হলে শরীর অনেকটা লাল হয়ে যায় এবং চুলকাতে থাকে। এগুলো দেখলে আমরা খুব সহজে বুঝে নিতে পারি যে গায়ে চুলকানি বা শরীরে এলার্জি সমস্যা হচ্ছে। তবে রক্তে এলার্জি থাকলে সেটি সহজে বোঝা যায় না, কিন্তু এরও কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা অতি জরুরী। কেননা রক্তে এলার্জি খুবই মারাত্মক একটি ব্যাধি এতে অনেকের মৃত্যু ঝুঁকি থাকে। তাই, এ বিষয়ে সঠিক ধারণা বা তথ্য জেনে থাকা অতি আবশ্যক। চলুন তাহলে দেখে নেই রক্তে এলার্জির লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
  • কারো যদি শরীরের রক্তে এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির নাক দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে পানি পড়তে থাকে এবং সেটি অতিরিক্ত পরিমাণে।
  • নাক দিয়ে অতিরিক্ত পানি পড়ার কারণে তাদের ঘ্রাণ শক্তি কমে যাবে অর্থাৎ নাক দিয়ে আমরা সাধারণ মানুষ যতটা পরিমাণ ঘ্রাণ নিতে পারি ততটুক ঘ্রাণ নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
  • এ সময় রোগীদের চোখ অনেকটা লাল বর্ণের হয়ে থাকে অর্থাৎ রক্তে এলার্জি সমস্যা হলে চোখ অনেকটা লালচে বর্ণের দেখা যায়।
  • এ সময় শরীরের যেকোন স্থানে চাকা চাকা অর্থাৎ গোল চাকা চাকা দাগ ফুটে ওঠে।
  • এ সময় প্রচুর পরিমাণে পেটের কামড় বা পেটে ব্যথা সমস্যা অনুভব হয়।
  • পেট কামড়ানো বা পেটে ব্যথা সমস্যার কারণে বমি বমি অনুভূতি হয় শরীরে।
  • এছাড়াও তলপেটে অনেক বেশি ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে।
  • রক্তে এলার্জি সমস্যা থাকলে গলার কাছে চাপ ধরে থাকার মত অনুভব লক্ষ্য করা যায়।
  • এ সময় খুব ঘনঘন হাঁচি হয়ে থাকে যেহেতু এই সময় নাক দিয়ে পানি পড়ে তাই হাঁচি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি এবং অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
নাক দিয়ে পানি পড়ার পাশাপাশি চোখ দিয়েও পানি পড়তে থাকে এবং চোখে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়। রক্তে এলার্জি থাকলে এ ধরনের সমস্যা গুলো সাধারণত মানুষের শরীরে দেখা যায়। আর তাই এমন কোন লক্ষণ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন, কারন রক্তে এলার্জি একজন মানুষের জীবনের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আজ আপনাদের জানাবো রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ ও রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে। আপনারা এমন কোন লক্ষণ দেখলে এই উপায় গুলি অবলম্বন করতে পারেন।

রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ

কারো যদি রক্তে এলার্জি সমস্যা দেখা যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে পারেন, এ সমস্ত ঔষধগুলো নিয়মিত সঠিক নিয়ম অনুসারে সেবন করলে রক্তে এলার্জি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাছাড়া রক্তে এলার্জি খুবই মারাত্মক একটি ব্যাধি তাই এ সমস্যায় যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবন করা মোটেও উচিত নয়। তবে রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

  • Fenadin 180mg
  • Cetizin Tablet
  • Alatrol Tablet
  • Citin Tablet
  • Alargol Tablet
  • Cetmax 10mg Tablet
  • Atrizin 10Mg Tablet
  • Dyzin Tablet
  • Nosemin Tablet
  • Rizin Tablet
এ সমস্ত ঔষধ গুলো রক্তে এলার্জির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তবে, এলার্জির সমস্যায় কখনোই এ সমস্ত ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন না। কারণ বিভিন্ন রকম ঔষধে নানান সাইড ইফেক্ট থাকে এবং সেটি সবার শরীরের জন্য উপযোগী হয় না। অতএব ঔষধ গুলোর নাম জানার পরপরই কখনোই এসব  ঔষধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন না।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন রকম ঔষধ সেবন করবেন না

রক্তে এলার্জি কমানোর উপায়

যদি কারো রক্তে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখলে জীবনযাত্রায় অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। আজ আপনাদের জানাবো কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করে রক্তে এলার্জি কমানো যায়। কারণ রক্তে এলার্জি খুবই মারাত্মক একটি রোগ তাই রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আবশ্যক। চলুন তাহলে বিস্তারিত দেখে নেই।
  • আদা চাঃ আদা মানুষের শরীরের এলার্জি সমস্যা কমাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী ও অ্যান্টি-হিস্টামিন বৈশিষ্ট্য সমূহ, আদা চা পান করার ফলে এলার্জির সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর তাই নিয়মিতভাবে চায়ের সাথে আদা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন অর্থাৎ চা তৈরির সময় আদা দিয়ে দশ মিনিটের জন্য ভালোভাবে জাল করে সেই চা পান করুন।
  • মধু ও হলুদঃ আপনারা জানেন মধু এবং হলুদ আমাদের শরীরের নানা রকম প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে। তবে হলুদ এক প্রকার মসলা যা আমরা সাধারণত তরকারি রান্নায় ব্যবহার করি কিন্তু এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। হলুদ এবং মধু একত্রে মিশিয়ে পান করলে এটি আপনার রক্তের এলার্জি একেবারেই কমিয়ে দেয়। এর জন্য আপনাকে এক টেবিল চামচ মধুর সাথে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন হিসেবে কাজ করে।
  • রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধঃ আমরা জানি যেকোনো ধরনের সমস্যাই ঔষধ সেবন করা যায় আপনারা রক্তে এলার্জি কমানোর জন্য যে ধরনের ঔষধ গুলো রয়েছে তা সেবন করতে পারেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন রকম ঔষুধ সেবন করবেন না, কারণ যে কোন ঔষুধ সেবন করার ফলে রক্তের এলার্জি ঝুঁকি আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • নিম পাতার রসঃ অনেকের কাছে নিম পাতার রস পান করা বেশ কষ্টকর মনে হতে পারে যেহেতু এটি প্রচুর পরিমাণে তেতো হয়। তবে, রক্তের এলার্জি দূর করতে নিম পাতার রস বেশ কার্যকর তাই চেষ্টা করবেন নিম পাতার রস সেবন করার। কিছুটা সহজ হবে যদি নিম পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করেন।
  • ভিটামিন-সি যুক্ত খাবারঃ ভিটামিন-সি অর্থাৎ এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের এলার্জি যুক্ত সমস্যা গুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো নিয়মিত গ্রহণ করার ফলে রক্তের এলার্জি কমিয়ে আনা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে- কাঁচা মরিচ, বেল, ব্রকলি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল। এ ছাড়াও যে সমস্ত খাদ্য তে ভিটামিন-সি রয়েছে সেগুলো নিয়মিত বেশি বেশি খাবার চেষ্টা করবেন।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ - রক্তে এলার্জি কমানোর উপায়ঃ উপসংহার

রক্তের এলার্জি খুবই মারাত্মক একটি ব্যাধি সাধারণত শরীরের কোন অংশে এলার্জি সমস্যা হলে তা সহজেই বোঝা যায় বা চোখে পড়ে। কিন্তু রক্তে এলার্জি সবাই বুঝতে পারে না তবে, নানা রকমের লক্ষণগুলো দেখা গেলেও অনেকে প্রথমত খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু আজ আপনাদের মাঝে এলার্জির লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, এমন কোন লক্ষণ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আপনারা জেনেছেন এলার্জির ঔষধ সম্পর্কে তবে এলার্জির ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তবেই সেবন করবেন।
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জেনেছেন, রক্তে এলার্জির লক্ষণ, রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ ও রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে উপকারী মনে হলে আপনার পরিচিত ও বন্ধুবান্ধবের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আসসালামু-আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪